একটা দেশের অর্থনীতিতে আর্থিক খাতের ভূমিকা কী, তা মনে হয় বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। আর্থিক খাতের প্রধান অঙ্গগুলো হলো—ব্যাংক, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ার বাজার।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এক অদ্ভুত ত্রিভুজ—আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জামায়াত। কখনো সরাসরি, কখনো মুখোমুখি সংঘাত, কখনো আঁতাত—এই ত্রিভুজই ছিল ক্ষমতার মূল অঙ্ক।
শুধু পেশাগত দক্ষতা যথেষ্ট নয়; বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। একটি নতুন দেশে কাজ করতে গেলে কেবল যান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে কাজ চালানো কঠিন হতে পারে। বরং ভাষার দক্ষতা, মানবিক আচরণ ও সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা কর্মীদের জীবনকে ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে।
লং টার্ম সম্পর্কের জন্য মোলায়েম কথা খুব উপকারি। ব্যক্তিগত মানুষটি যদি কারণে/অকারণে প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে ওঠে সেই সম্পর্কে আর যাই থাকুক আনুগত্য থাকে না। সম্পর্ক হতে হবে মুক্ত জানালার মতো। যত দূর চোখ যায় শুধু তাকিয়ে থাকা। তাকে ভাবলেই যদি ক্লান্তি আসে সেটা কোনোভাবেই সম্পর্ক হতে পারে না।
আফগানিস্থানে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এর জন্য অবশ্য সেখানকার অসম আইনকানুনই দায়ী। ফায়ার ফাইটার ও অন্য রেসকিউ পুরুষ সদস্যদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা ছিল, তারা কেউ যেন কোনো নারীর শরীর স্পর্শ না করে। এ কারণে অনেক আহত নারীকে উদ্ধার করা হয়নি।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, তারা জারি থাকা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ঘোষণা শুধু মিয়ানমারের জন্যই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতি এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে।
যদি একটি জাতির খারাপ হতে ৫৪ বছর লাগে, তাহলে এক বছরে কীভাবে ভালো হওয়া সম্ভব? যদি বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকার অর্থে দুর্নীতিমুক্ত, সৎ, সুশিক্ষিত, ন্যায়পরায়ণ ও সৃজনশীল হতে চায়, তবে সেটা কি মাত্র এক বছরের মধ্যে সম্ভব?
পৃথিবীতে হাজার সম্পর্কের ভিড়ে কিছু সম্পর্ক থাকে স্বীকৃত। আবার কিছু সম্পর্ক থাকে অস্বীকৃত। আবার দেখুন পৃথিবীর আনন্দময় জিনিসগুলো ফ্রিতে কিংবা মাগনা পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বৃষ্টির নাচন, ফুলের সুবাস, নদীর কুলকুল ধ্বনি, ঝরনার ধ্বনি, ময়ূরের পেখম নৃত্য। অথচ আমরা এশিয়ানরাই জীবনের নিশ্চয়তা নিয়ে বেশি ভাবি।
মধ্যবিত্ত শ্রেণির অধিকাংশ মানুষ সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধে দৃঢ়। তারা হয়তো প্রতিদিন সমাজের অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো তারা সেই অনিয়মের অংশ হতে চায় না। এটাই তাদের সম্মানের জায়গা।
আমেরিকার এক স্টেটে (রাজ্য) এক বাঙাল থাকতে এসেছে। এসে রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছে। মাঝে মাঝে পার্কে বেড়াতে যায়। পার্কে রাজহাঁস ঘুরে বেড়ায়। দুনিয়ার অন্য দেশের দর্শনার্থীরা হাঁস দেখে মুগ্ধ হয়, ছবি তোলে। বাঙালের মনে প্রশ্ন আসে, ‘একটি যদি ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলি, সমস্যা কী? কেউতো দেখছে না। আর দেখলেই বা কী?
শান্তি ধার নেওয়ার জিনিস নয়। শান্তি পারস্পরিক বিষয়। আকাশ দেখলে যাদের দম আটকে যায় তাদের জন্য সাত রঙ কোনোভাবেই ভালো নয়।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। দেশে বসবাসরত মানুষদের মতোই ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকও এই নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন, আলোচনা করছেন এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশা-আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
রাতে নাইট ডিউটি শুরু করব, আধা ঘণ্টা আগে দেখি, বন্ধু (নামটা ধরে নিলাম কিনারি) হাজির। কঠিন মেয়ে সে। কথা দিয়ে কাঁদিয়ে দিতে পারে টাইপের। আমার জন্য কফি নিয়ে এসেছে। বহুদিন পর একসঙ্গে কাজ করব। মধুর গলায় বলল, ফারহানা তুমি ইদানীং বোলিং করতে যাও না, মুভি নাইটেও দেখলাম না আমাদের সঙ্গে।
গণতন্ত্রের শক্তি: ক্ষমতার উৎস জনগণ—এই ধারণা এখনো বিশ্বের বহু দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফরাসি বিপ্লব দেখিয়েছে, শোষণের বিরুদ্ধে সংগঠিত জনগণই পারে শাসকের ভাগ্য নির্ধারণ করতে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম ছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো আমার প্রিয় একটা স্বভাব। সেটা কোনো মেলা হোক, গ্র্যাজুয়েশন পার্টি হোক বা হোক কোনো হাসপাতালের কক্ষ।
ভালোবাসার এই দেশে মাহমুদ খলিল, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টুডেন্ট অ্যাকটিভিস্ট মানে ক্যাম্পাসে লিড নেগেশিয়েটর, প্রো প্যালেস্টাইন। তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার লিগ্যাল রাইট আছে। কিন্তু তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভাবা।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে।
আমেরিকায় আসার আমার ২৫ বছর পূর্ণ হলো। সময়ের হিসাবে এটি অনেক লম্বা একটা সময়। প্রথম প্রথম এখানে এসে অনেক লাভ–লোকসানের হিসাব করতাম। একটা পর্যায়ে দেশে ফেরত যাবারও ইচ্ছা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই জীবনকে এখানে অন্যভাবে সাজিয়ে নিয়েছি।
একাকিত্ব একটি জটিল ও বহুমাত্রিক মানসিক সমস্যা। এটি মানুষের মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি শুধুমাত্র শারীরিক বিচ্ছিন্নতা বা একা থাকার অনুভূতি নয়, বরং মানসিক ও আবেগিক বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিও তৈরি করে। তবে একাকিত্বকে শুধু নেতিবাচক হিসেবে দেখার কোনো কারণ নেই।
১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকের কথা। তখন সুইস কোম্পানি ফাদসা এস এ–তে চাকরি করি। হঠাৎ এক দিন কোম্পানির মালিক মশিউয়্যু মিশেল লাসের (বাংলায় জনাব মিশেল ল্যাসার) তাঁর অফিসে ডেকে পাঠালেন। আমিতো ভয়ে দিশেহারা, ভাবলাম ফ্রেন্স ভাষা না জানার কারণে আমার মনে হয় এবার চাকরিটাই গেল।
শুধু পেশাগত দক্ষতা যথেষ্ট নয়; বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। একটি নতুন দেশে কাজ করতে গেলে কেবল যান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে কাজ চালানো কঠিন হতে পারে। বরং ভাষার দক্ষতা, মানবিক আচরণ ও সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা কর্মীদের জীবনকে ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে।
৮ দিন আগেমিয়ানমারের জান্তা সরকার সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, তারা জারি থাকা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ঘোষণা শুধু মিয়ানমারের জন্যই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনীতি এবং বিশেষ করে প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে।
১৫ দিন আগেপৃথিবীতে হাজার সম্পর্কের ভিড়ে কিছু সম্পর্ক থাকে স্বীকৃত। আবার কিছু সম্পর্ক থাকে অস্বীকৃত। আবার দেখুন পৃথিবীর আনন্দময় জিনিসগুলো ফ্রিতে কিংবা মাগনা পাওয়া যায়। যেমন জোছনা, বৃষ্টির নাচন, ফুলের সুবাস, নদীর কুলকুল ধ্বনি, ঝরনার ধ্বনি, ময়ূরের পেখম নৃত্য। অথচ আমরা এশিয়ানরাই জীবনের নিশ্চয়তা নিয়ে বেশি ভাবি।
২২ দিন আগেআমেরিকার এক স্টেটে (রাজ্য) এক বাঙাল থাকতে এসেছে। এসে রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছে। মাঝে মাঝে পার্কে বেড়াতে যায়। পার্কে রাজহাঁস ঘুরে বেড়ায়। দুনিয়ার অন্য দেশের দর্শনার্থীরা হাঁস দেখে মুগ্ধ হয়, ছবি তোলে। বাঙালের মনে প্রশ্ন আসে, ‘একটি যদি ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলি, সমস্যা কী? কেউতো দেখছে না। আর দেখলেই বা কী?
১৬ আগস্ট ২০২৫